কক্সবাজার ১ : নৌকা শূণ্য মাঠে হাতিঘড়ির এগিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য বলছে, চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত কক্সবাজার ১ আসনের বর্তমান ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৫২ জন। যেখানে চকরিয়া উপজেলায় ৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৫২ জন এবং পেকুয়া উপজেলায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ভোটার রয়েছে। এই ২ উপজেলায় ১৫৮ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে রিটানিং কর্মকর্তা।

এবারের নির্বাচনে এই আসনটিতে প্রতীক পেয়ে প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন ৭ জন। আসনটিতে এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি’র প্রার্থিতা ঋণ খেলাপির অভিযোগে বাতিল হওয়ায় কেন্দ্রিয় কমিটির নির্দেশে জেলা আওয়ামীলীগ হাতঘড়ি প্রতীকের প্রার্থীকে দলীয়ভাবে সমর্থন জানিয়েছে। এতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মিরা মাঠে ময়দানে হাতঘড়ি প্রতীকের পক্ষে প্রচারণার পাশাপাশি জোর তৎপরতা চালিয়ে এসেছে। এতে হাতঘড়ির মুহাম্মদ ইবরাহিমের জয়ের পাল্লা ভারী বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটার ও সচেতন মহল।

এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলম এবারও দলীয় মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হয়ে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনিও বিজয় স্বাদ পেতে নির্বাচনী মাঠে দলের কিছু সংখ্যক নেতাকর্মিদের পাশাপাশি কর্মি-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারণা চালালেও এই আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে গত ৫ বছরে তিনি দলের বেশ কিছু নেতাকর্মিদের কাছে বিরাগভাজন হয়েছেন। এতে ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মিরা দলীয় সিদ্ধান্তে এবার কল্যাণ পার্টির হাতঘড়ি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী পুরোদমে মাঠে রয়েছে।

ফলে এই আসনটি হাতঘড়ি প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত দেখবেন প্রার্থিতা বাতিল হওয়া নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ।

তিনি জানান, টানা ৫ বছরে এমপির ক্ষমতাবলে দখল, সন্ত্রাস, নৈঃরাজ্য সৃষ্টি করেছেন জাফর। দলীয় নেতা-কর্মী, সাধারণ মানুষ কেউ নিরাপদ ছিলেন না জাফরের কাছে। এবার নির্বাচনেও সন্ত্রাস সৃষ্টি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিপক্ষের লোকজনকে হুমকি, নির্বাচন অফিসে ভাংচুর, আগুন দেয়া হয়েছে। এতে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে জাফরের বিরুদ্ধে। হাতঘড়ির বিজয় নিশ্চিত।

চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমও মনে করছেন এ আসনে হাতঘড়ি এগিয়ে রয়েছেন। তাদের অভিমত, এটা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রতিরোধ।

তবে বিজয় নিজেই হচ্ছেন এমনটাই দাবি করেছেন ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী এমপি জাফর আলম।

এ আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম (হাতুড়ী), জাতীয় পার্টির হোসনে আরা (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের ছেলে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী তুহিন (ঈগল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুদ্দিন আরমান (কলারছড়ি)।